ইয়াজিদপন্থীদের জবাব হিসাবে নীচের লিংকসমূহ দেখুন প্লীজঃ
1) আহলে সুন্নাতের আকিদার কিতাবের বক্তব্য এজিদের উপর অভিসম্পাত সম্পর্কে
2) বাংলাদেশের এজিদপন্থীদের স্পর্ধা দেখুন: কারবালায় কিসের যুদ্ধ???
3) কারবালার ঘটনায় এজিদই দায়ী
4) কারবালা এবং মদিনার হাররার ঘটনার পরও কি ইয়াজিদ (২৬-৬৪ হিজরী) মুমিন?
5) এজিদ কে (রঃ) বলা যাবে কিনা????
6) ইয়াজিদ কি ন্যায়সঙ্গত উত্তরাধিকারী?
ইয়াজিদ সম্পর্কে ইয়াজিদপূত্রের সাক্ষ্য:
ইয়াযীদের পুত্র দ্বিতীয় মু‘আবিয়া (তিনি অবশ্য সৎ ও ন্যায়পরায়ণ লোক ছিলেন।) যে খোৎবা (ভাষণ) দিয়েছিলেন, তা ইয়াযীদের দুর্ষ্কম ও ইসলাম-বিদ্বেষের প্রমাণ বহন করে। তিনি বলেন, ‘‘অতঃপর আমার পিতাকে রাজকীয় পোশাক পরানো হয়। সে অনুপযুক্ত ছিলো। রসূল-ই আক্রামের দৌহিত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। এর ফলে তার জীবন হ্রাস পেয়েছে, বংশ নিপাত গেছে, সে তার কবরে তার পাপরাশির শাস্তিতে গ্রেফতার হয়ে আছে।’’ তারপর তিনি কেঁদে কেঁদে বললেন, ‘‘আমাদের সবার জন্য অতি আফসোস ও মনোকষ্টের ব্যাপার হলো তার মন্দমৃত্যু ও মন্দ ঠিকানা (পরিণাম)। সে তো রসূলে আক্রামের সম্মানকে ভূ-লুণ্ঠিত করেছে। মদকে হালাল করেছে, কা’বা শরীফ ধ্বংস করেছে।’’ [সূত্রঃ সাওয়া-ইক্ব-ই মুহরিক্বাহ্, পৃ. ১৩৪] এখানে উল্লেখ্য যে, ইয়াজিদ (লা:) ৪ বছরের কম সময় শাসন করে অল্প বয়সে সংক্রামকরোগে আক্রান্ত হয়ে পরিত্যাক্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে।
আল্লাহর ও তাঁর ফেরেশতাদের এবং সব মানুষের অভিশাপ
ইবনে কাসিরের বিদায়া ও নিহায়ার অষ্টম খণ্ডের ২৭৪ পৃষ্ঠায় এ হাদিসটি উল্লেখিত হয়েছে ইমাম হাম্বলের মুসনাদ থেকে। এতে বলা হয়েছে: যে অবিচার ছড়িয়ে দেয় ও মদীনার লোকদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে তার ওপর আল্লাহর ও তাঁর ফেরেশতাদের এবং সব মানুষের অভিশাপ বর্ষিত হয়। পবিত্র কুরআনেও (সুরা আহজাবে) বলা হয়েছে: যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে বিরক্ত করে বা কষ্ট দেয় আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তথা পরকালে তাদের ওপর অভিশাপ দেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন অপমানজনক বা লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি। (৩৩:৫৭)
ইমামে রাব্বানী হযরত মুজাদ্দীদ আলফে সানী সহ অন্যান্য আওলিয়ায়ে কিরাম এবং ওলামায়ে ইসলামগণ বলেন, ইয়াজিদ পাপীষ্ঠ ও ফাসিকদের দলের অন্তর্ভূক্ত। তার পাপীষ্ঠতার ব্যাপারে কারো দ্বিমত নাই। যে হীন কর্ম এই দূর্ভাগা করেছে, কোন কাফির ফিরিঙ্গিও তা করতো না। [মাকতুবাত শরীফ-৫৪,২৫১]
হাদীসের আলোকে আলী (রাঃ) বিরোধীদের পরিচয়:
আমীরুল মু'মিনীন খলিফাতুল মুসলিমীন আলী (রাঃ) বলেনঃ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻱ ﻓَﻠَﻖَ ﺍﻟْﺤَﺒَّﺔَ ﻭَﺑَﺮَﺃَ ﺍﻟﻨَّﺴَﻤَﺔَ ﺇِﻧَّﻪُ ﻟَﻌَﻬْﺪُ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺍﻟْﺄُﻣِّﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﺇِﻟَﻲَّ ﺃَﻥْ ﻟَﺎ ﻳُﺤِﺒَّﻨِﻲ ﺇِﻟَّﺎ ﻣُﺆْﻣِﻦٌ ﻭَﻟَﺎ ﻳُﺒْﻐِﻀَﻨِﻲ ﺇِﻟَّﺎ ﻣُﻨَﺎﻓِﻖٌ . সে মহান সত্তার শপথ, যিনি বীজ থেকে অংকুরোদগম করেন এবং জীবকুল সৃষ্টি করেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, মুমিন ব্যাক্তই আমাকে ভালবাসবে আর মুনাফিক ব্যাক্তি আমার সঙ্গে বিদ্বেষ-শক্রতা পোষণ করবে। (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাঃ ৭৮, ইফা - হাঃ ১৪৪, জামে তিরমিযী হাঃ ৩৭৩৬, সুনান নাসায়ী হাঃ ৫০২২, ইবনে মাজাহ হাঃ ১১৪, মুসনাদে আহমদ হাঃ ৭৩৩, ১০৬৫, সিলসিলা সহীহাহ হাঃ ১৮২০) আবু সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, " ﺇﻧَّﺎ ﻛﻨﺎ ﻟﻨﻌﺮﻑ ﺍﻟﻤﻨﺎﻓﻘﻴﻦ ﻧﺤﻦ ﻣﻌﺸﺮ ﺍﻷﻧﺼﺎﺭ ﺑﺒﻐﻀﻬﻢ ﻋﻠﻲ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﻃﺎﻟﺐ ." “আমরা আনসারীরা মুনাফিক চিনতাম আলী বিন আবী তালেব (রাঃ) এর প্রতি তাদের বিদ্বেষ দেখে।” (জামে তিরমিযী হাঃ ৩৭১৭; মিশকাত হাঃ ৬০৯১)

এজিদের শেষ পরিণতি কি হয়েছিল জানেন? ইয়াজিদ | Yazeed | Karbala
No comments:
Post a Comment